নুর উদ্দিন সুমন হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জের বাহুবল প্রাথমিক শিক্ষায় অবদান রাখায় বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত হওয়ায় শ্রেষ্ঠ সনদপত্র পেয়েছেন বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জসিম উদ্দিন। গতকাল উক্ত সনদপত্র প্রেরণ করে সিলেট বিভাগীয় অফিস, উক্ত সনদ বাহুবল উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে প্রদান করা হয়।
জানা জায়, হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জসিম উদ্দিন। জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৯ ও জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০১৮উদযাপন উপলক্ষে প্রাথমিক শিক্ষায় অবদান রাখায় হবিগঞ্জ জেলা ও সিলেটবিভাগে বাছাই কমিটি গত১৬ অক্টোবর সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সিলেট বিভাগের ৪ জেলার ৪ জন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মধ্যে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সকল প্রতিযোগীদের মধ্যে অংশগ্রহণ করে মোঃ জসিম উদ্দিন শিক্ষা ক্ষেত্রে অনন্য অবদান রাখার জন্য সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে ‘জাতীয় শিক্ষা পদক’ অর্জন করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে তিনি এ উপজেলায় যোগদানের পর উপজেলার, শতভাগ ভর্তি, ঝড়ে পড়া কমিয়ে আনা ২%, শতভাগ মিডডে মিল চালুকরণ।
এছাড়াও ২১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া মাধ্যমিকে শতভাগ, ১৫টি নতুন বিল্ডিং নির্মানে ভূমিকা, ৯টি জাঁকজমক শিক্ষা সংক্রান্ত সেমিনারে আয়োজন, শিক্ষা সংক্রান্ত প্রবন্ধ প্রকাশনা, ৫০টি স্কুল সরাসরি পরিদর্শন মনিটরিং জোরদার করনে কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে মনিটরিং টিম গঠন, ব্যক্তি উদ্যোগে শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জায়গা সংকুল ও স্কুল ঘর নির্মাণ, যানজট নিরসন, শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সুবিধা, ইভটিজিং বাল্যবিবাহে কার্যকর প্রদক্ষেপ, গ্রহন। এছাড়াও বিশেষ নজির সৃষ্টি, পিঠা বিক্রেতাকে শিশুকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দায়িত্ব নেয়া, অসহায় জয়তুনের ঘুরে দাড়ানোর সার্বিক সহযোগীতা, অগ্নিদগ্ধ সাদিয়ার স্বপ্নপূরণে ভূমিকা রাখা, ক্যান্সার আক্রান্ত পপির জীবনযুদ্ধে সহযোগীতা, অগ্নিদগ্ধ রুবিনার চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়া, পরিবেশ সুরক্ষায় বন্যপ্রানী সংরক্ষণে লার্নিং, দীর্ঘ বছর ধরে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গরুর বাজার অপসারণ, জনাজীর্ণ মৃতপ্রায় বাহুবল পাবলিক লাইব্রেরী অাধুনিকায়ন করে পূর্ণ চালু করণ, বাহুবলে পার্লামেন্টারি ডিভেট চালু করণ, ডিভেট ক্লাব গঠন ও প্রতিটি বিদ্যালয়ে ক্লাব গঠনের পরিকল্পনা, সিলেট অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী বাহুবল একুশে বই মেলার বর্ণাঢ্য সফল সপ্তদশ আয়োজনসহ বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক কাজ করায় চার জেলার নির্বাহী অফিসারদের ম্যধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করেন।
এর আগে তিনি জেলা পর্যায়ে ২ অক্টোবর হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে থেকে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন বর্তমান সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তনের মাধ্যমে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধনে সক্ষম হয়েছে।
শিক্ষাক্ষেত্রে গুণগত পরিবর্তন করে নতুন প্রজন্মকে আধুনিক মানসম্মত যুগোপযোগী শিক্ষা এবং আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন নতুন উদ্যোগ , শৃংঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠা, তথ্য-প্রযুক্তির ব্যাপক প্রয়োগ, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, স্বচ্ছ গতিশীল শিক্ষা প্রশাসন গড়ে তোলা, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আকৃষ্ট করে ঝরেপড়া বন্ধ করা ও শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
উপজেলাকে এগিয়ে নিতে শিক্ষার হার বৃদ্ধি ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করণ,শিক্ষার হার বৃদ্ধিকল্পে শতভাগ শিশুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত করণ, শিক্ষার হার বৃদ্ধিকল্পে বয়স্ক শিক্ষা অনানুষ্ঠানিক চালুকরণ, কর্মপরিকল্পনাসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছি এতে করে উপজেলার শিক্ষাক্ষেত্র শতভাগ এগিয়ে নেয়া হবে।শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে শিক্ষার প্রতিটি ধাপ বাস্তবায়ন করতে সকলের সহযোগীতা কামনা করছি। সকলের সহযোগীতায় অভূতপূর্ব সফলতা সমগ্র সিলেট বিভাগীয় পর্যায়ে প্রশংসিত হয়েছি এবং স্বীকৃতি ও মর্যাদা পেয়েছি।
আমার শ্রেষ্ঠত্বের অর্জনে আমার সহকর্মীও উপজেলার সকল শ্রেনী পেশার সহযোগীতা পেয়েছি। এজন্য আমি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ।